অনেক দেশি-বিদেশি দাতা সংস্থা (donor agencies) এনজিওকে তহবিল দিয়ে থাকে। আমরা এসব সংস্থার কাছ থেকে অনুদান (grants) পাওয়ার জন্য প্রকল্প প্রস্তাব (project proposals) তৈরি করে আবেদন পাঠানো ব্যবস্থা করবো।
UN, USAID, DFID, World Bank, এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এনজিও থেকে অনুদান পাওয়া জন্য অনালাইনে বা ইমেলে যোগাযোগ করবো।
করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (CSR) ফান্ডিং
বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতার (Corporate Social Responsibility) অংশ হিসেবে এনজিওকে তহবিল দিয়ে থাকে। আমরা সেই করপোরেট প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে তাদের সামাজিক উদ্যোগের অংশ হতে উৎসাহিত করবো।
স্থানীয় দাতা এবং ব্যক্তিগত অনুদান
স্থানীয় দাতা, ধনী ব্যক্তি, ব্যবসায়ী এবং ফিলানথ্রপিস্টদের কাছে গিয়ে সরাসরি অনুদান প্রার্থনা করবো।
পারিবারিক ভিত্তিক অনুদান (Family Foundations) এবং ব্যক্তিগত দাতা যারা দাতব্য কাজে আগ্রহী তাদের সাথে সংযোগ স্থাপন করবো।
ফান্ডরেইজিং ইভেন্ট আয়োজন
ফান্ডরেইজিং ইভেন্ট (যেমন গালা ডিনার, চ্যারিটি কনসার্ট, নিলাম বা দৌড় প্রতিযোগিতা) আয়োজন করে তহবিল সংগ্রহ করা যায়। এসব ইভেন্টে স্থানীয় কমিউনিটির সম্পৃক্ততা এবং কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানকে স্পন্সর হিসেবে যুক্ত করতে চেষ্টা করবো।
স্বেচ্ছাসেবী সদস্যদের তহবিল সংগ্রহ প্রচেষ্টা
আমরা যারা স্বেচ্ছাসেবীরা তাদের সামাজিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহে অংশ নিবো। তাদেরকে ছোট ছোট দাতা খুঁজে বের করতে উৎসাহিত করবো।
loading..........
Recently Article
শিক্ষা-অভাব: একটি সামাজিক চ্যালেঞ্জ
শিক্ষা-অভাব একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সমস্যা, যা ব্যক্তি এবং সমাজ উভয়ের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করে। শিক্ষা একটি মৌলিক অধিকার, কিন্তু অনেক এলাকায় এটি এখনও একটি অপ্রাপ্য বিষয় হয়ে রয়েছে।
সমস্যার কারণসমূহ:
অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা: অনেক পরিবারের জন্য শিক্ষার খরচ বহন করা সম্ভব হয় না, যা শিশুদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করে।
শিক্ষার অপ্রাপ্যতা: গ্রামীণ এলাকাগুলোতে স্কুলের অভাব এবং শিক্ষকদের কমতির কারণে শিক্ষার সুযোগ সীমিত থাকে।
সংস্কৃতি ও সামাজিক মানসিকতা: কিছু সমাজে মেয়েদের শিক্ষা নিয়ে স্টিগমা থাকায় তাদের স্কুলে যাওয়ার সুযোগ কমে যায়।
আইনগত প্রতিবন্ধকতা: দেশে শিক্ষার জন্য অপর্যাপ্ত নীতি এবং আইন থাকার কারণে বিষয়টি আরও জটিল হয়ে যায়।
প্রভাব:
অর্থনৈতিক উন্নয়নের অভাব: শিক্ষার অভাবের কারণে জনগণের কর্মদক্ষতা কমে যায়, যা দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
সামাজিক অস্থিরতা: শিক্ষিত জনসংখ্যার অভাব সমাজে অপরাধ এবং বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করতে পারে।
স্বাস্থ্যগত সমস্যা: শিক্ষা অভাবের কারণে জনগণের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্যের অভাব দেখা দেয়, যা স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করে।
সমাধান:
সরকারি উদ্যোগ: সরকারকে শিক্ষার জন্য বাজেট বৃদ্ধি এবং সুবিধা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে।
সচেতনতা বৃদ্ধি: সমাজে শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ক্যাম্পেইন চালানো।
সামাজিক সহযোগিতা: এনজিও এবং সমাজের স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন।
প্রযুক্তির ব্যবহার: অনলাইন শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষা প্রবাহের উন্নয়ন করা।
উপসংহার:
শিক্ষা-অভাব একটি গুরুতর সামাজিক সমস্যা, যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করে। আমাদের সকলের উচিত শিক্ষার প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা এবং সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখা।